সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো রাজপথে আন্দোলন করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা। শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠালতলা চত্ত্বর থেকে বিকেল তিনটায় এ সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন দুপুর দুইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে তাঁতিবাজার মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবস্থান নেন তারা। এর আগে গত শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে আন্দোলনের প্রচারণা চালান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে তাঁতিবাজার অবস্থান নেয়ার ফলে বাবুবাজার, যাত্রাবাড়ী ও সদরঘাটগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। যা ছড়িয়ে পড়ে কদমতলী, কাকরাইল, সদরঘাট ও যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। পদ্মাসেতুগামী বাবুবাজার ব্রিজও যানজটে অচল হয়ে পড়ে।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা 'সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে', 'মেধাবীরা আসছে রাজপথ কাপছে', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই', মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই', বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই' সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা নানা গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা দেয়া হয় অনগ্রসর জাতির জন্য। দেশের ৫৬ ভাগ জনগন কি অনগ্রসর? বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে এতো কোটা কেনো? যতদিন কোটা আছে তদিন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থী শাহীন বলেন, প্রয়োজনে আমরা মার খাবো। মার খেতে খেতে মরে যাবো কিন্ত কাউকে আঘাত করব না। আমি শাহীন না থাকলেও হাজার শাহীন তৈরি হবে। তবে আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন, আন্দোলকারীদের রক্তচক্ষু দেখিয়ে ভয় দেখানো সম্ভব নয়। এ দাবি শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নয়, সব শিক্ষার্থীদেরই। এসময় তিনি পুনরায় শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর