
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত আর উজানী ঢলে পৌরসভার বেশ কিছু অংশসহ উপজেলার বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী, কালীগঞ্জ, ভিতরবন্দ, নুনখাওয়া, কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাষ, নারায়ণপুর ও রায়গঞ্জ ইউনিয়নে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে পানি বন্দি হয়ে পরেছে এসব অঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এ অঞ্চলের নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো। জীবনের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের কলার ভেলায় কিংবা ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হাঁটু, কোমর পানিতে ভিজে চালাতে হচ্ছে জীবন ও জীবিকা। সরেজমিনে উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ব্যাপারীর শ্যামলী আক্তার জানান - ঘরের ভেতর একবুক পানি,রাস্তাও ডুবি গেছে! রান্নাবান্নার কোনো বুদ্ধি নাই,ছোয়াল পোয়াল নিয়ে কি যে করি ।
একই গ্রামের ফজলে রহমান বলেন- ঘরে পানি ওডা ওডা ভাব, আস্তা-ঘাটা ডুবি যাওয়ায় হাটবাজার যোয়ার কোনো বুদ্ধি নাই,খাওয়া-দাওয়ার খুব কষ্ট আমাদের। শুধু ব্যাপারীটারী নয়- একই অবস্থা দেখা দিয়েছে উপজেলার অন্যসব বন্যার্ত এলাকায়।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার অবনতি হওয়ায় এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, বন্যার্তদের আমরা সর্বদা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর