সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা প্রথা বাতিলসহ ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফের শাহবাগ অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ছাড়াও রাজধানীর আরও ৭টি স্পটে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করবেন বলে জানা গেছে। যার ফলে যানচলাচল বিঘ্ন ঘটেছে।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরে মিছিলটি শাহবাগ এসে অবরোধ করে। যার ফলে রাজধানীর নীলক্ষেত-নিউমার্কেট-শাহবাগ রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় এবং ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন। তারা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটা সংস্কারের পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এতে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার ফলে রাজধানীর নীলক্ষেত-নিউমার্কেট-শাহবাগ রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশ অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর