জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন কার্যক্রম সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) হালনাগাদ করে মাঠ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে করে ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করছে সাধারণ নাগরিকরা। এসওপি বাস্তবায়ন হওয়ার পর একমাসে ৬৫ হাজার আবেদন নতুন করে ক্যাটাগরিতে আটকে আছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসআইডি সংশোধনের আবেদন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে হয়। এক্ষেত্রে ক, ক-১, খ, খ-১, গ, গ-১ ও ঘ; এই সাতটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয় আবেদনগুলো৷ অর্থাৎ কোনো আবেদন জমা পড়লে সেগুলোর সমস্যার ধরণ বুঝে ক্যাটাগরিতে ফেলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ক্যাটাগরি হয়ে গেলে সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আবার সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনআইডি অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন,ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা আমরা এখন মাঠ পর্যায়ের ২০ জন অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া যাতে করে তারা দ্রুত নিজ নিজ অঞ্চলের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে পারে। কিন্তু তা করে আবেদন গুলো ঝুলে রাখছে। ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার আবেদন ক্যাটাগরিতে জমা হয়ে গেছে।এছাড়া নানা রকম অজুহাত দিয়ে সংশোধন এখানে হবে না বলে ক-ক্যাটাগরি মতো আবেদন গুলো ঢাকা পাঠিয়ে দেয়।এগুলোতে আরও বেশি ভোগান্তি বাড়ছে।
জানা গেছে, আগে ইসির এনআইডি শাখার ১০ কর্মকর্তা ১০ অঞ্চলে আবেদনগুলো ক্যাটাগরি করতেন। সম্প্রতি এসওপি সংশোধনে ১০ অঞ্চলে ২০ কর্মকর্তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে কার্যক্রম ত্বরান্বিত না হয়ে আরো ঝুলে গেছে। গত এক মাসে ৬৫ হাজার আবেদন ক্যাটাগরিহীন অবস্থায় রয়েছে, যেখানে আগে ১০ হাজারের মতো ঝুলে থাকতো। এই অবস্থায় সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবু্ব আলম তালুকদার বলেন, আমরা এসওপি করেছিলাম ভালোর জন্যই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা বেশি। এ নিয়ে কাজ করছি। অপেক্ষা করেন, দেখতে পাবেন।
ইসির এনআইডি সার্ভারে ১২ কোটির মতো নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার নাগরিক কোনো না কোনো সংশোধনের আবেদন জানান। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনের কারণে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো আবেদন ঝুলে পড়েছিল।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর