কোটা আন্দোলনের উত্তাল দেশ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাকে সংস্কার করতে হবে। টানা আটদিনের কর্মসূচি এবং দুই দিনের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শেষে নবম দিনের জন্য সারাদেশ জুড়ে অনলাইনে এবং অফলাইনে গণসংযোগ ও সমন্বয় শেষে, সন্ধ্যায় অনলাইনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বুধবারের কর্মসূচি জানিয়ে দেবেন তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগে এই কর্মসূচীর ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাইদ ইসলাম।
নাহিদ বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। আমরা বাধ্য হয়েই আজ রাজপথে নেমে এসেছি। ছাত্ররা সহজে মাঠ ছাড়বে না। আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা দায়িত্বশীল আচরণ করুন। তা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব। মঙ্গলবার আমরা সারাদেশে অনলাইন অফলাইন গণসংযোগ ও সমন্বয় করব। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় অনলাইনে সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ের কঠোর কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে চলমান ছাত্র-ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সায়েন্সল্যাব ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল রবিবারও শাহবাগসহ ঢাকার বিভিন্ন মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। পরে রাত ৮টা ৩৫মিনিটে অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর