• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১ ঘন্টা পূর্বে
আব্দুল ওয়াদুদ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ০২:১০ দুপুর
bd24live style=

সাংবাদিক লাঞ্ছনা: শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্য ক্লোজড

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই চন্দন ও নারী পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) হাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তথ্যমতে, সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে শেরপুর হাইওয়ে থানা চত্ত্বরে স্থানীয় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাওন পেশাগত কাজে গেলে এস আই চন্দনের হাতে মারধরের শিকার হন।

জানা যায়, ঐদিন সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার ব্যক্তিগত কাজে শেরপুর হাইওয়ে থানায় যান। গাড়ি নিয়ে থানার গেটে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত  নারী পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা তাকে থামার জন্য ইশারা করেন। তিনি বুঝতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি থানা ভবনে ঢুকতে গেলে  নারী পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা বলেন, 'আপনি পাগল নাকি? ইশারা বোঝেন না?'। 

একথা শুনে তিনি এগিয়ে এসে বলেন, 'এভাবে বলছেন কেন? আমি যে পাগল এটা প্রমাণ করতে পারবেন?' একথা বলায়  নারী পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা রেগে গিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তার উচ্চবাচ্যে লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাওনও কাছে গিয়ে দুজনকে  মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার কাজ সেরে চলে যান। সাংবাদিক শাওন তার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

এর কিছুক্ষণ পর  নারী পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা থানা ভবনের ভেতরে গিয়ে কিছুক্ষন পর বের হয়ে আসেন। এর একটু পরই এস আই চন্দন এসে সাংবাদিক শাওনের পোলো শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া ও মাধরণ করে। ঘটনাটি সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজানি হলে ২০-২৫ জন সাংবাদিক শেরপুর হাইওয়ে থানায় গিয়ে অবস্থান নিয়ে হাইওয়ে ইনচার্জ (ওসি) হাসেমের কাছে বিচার দাবী করেন। পরে, হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহমেদ হাশমী এসে সঠিক বিচারের  আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত জুন মাসে আনন্দ টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ এসআই চন্দনের হাতে লাঞ্ছিত হন। বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ বলেন, গত মাসে এক আত্মীয়র চেকআপ শেষে বগুড়া থেকে শেরপুরে ফিরছিলাম। অপারেশনের রোগী হওয়ায় তাকে পাবলিক বাসে না নিয়ে সিএনজিতে আনা হচ্ছিল। সিএনজি শেরপুর হাইওয়ে থানার কাছে আসলে কনস্টেবল মেহেদী সিনএজিকে থামানোর সিগন্যাল দেয়। সিএনজি থামলে কনস্টেবল মেহেদী ড্রাইভারকে গাড়ি থানার ভেতর নিতে বলে। এ সময় আমি আমার পরিচয় দিয়ে বলি, গাড়ী থানায় নিয়েননা।

গাড়ীতে অসুস্থ  রেগী আছে। রোগী নিয়ে দ্রুত বাড়িতে যেতে হবে। তখন কনস্টেবল মেহেদী আমাকে বলেন, 'ঐ মিয়া সাংবাদিক বলে দেশ কিনে নিয়েছেন নাকি?  আপনি যা বলবেন তাই শুনতে হবে? চলেন, আমার অফিসারের সাথে কথা বলেন!' এরপর গাড়ি নিয়ে আমাকে থানার ভেতর যেতে বাধ্য করে। পরে, এসআই চন্দন তার সামনে থাকা চেয়ার পা দিয়ে ঠেলে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে থাকে কিরে, মেহেদী! এসব ভূয়া সাংবাদিক ধরার জন্যই তো ডিজিটাল আইন তাই না?

এ সময় কনস্টেবল মেহেদী  চন্দনের ইশারায় বলেন, আপনার আইডি কার্ড দেখান। এসআই চন্দন বলেন, আইডি কার্ড আছে তো? নাকি, ভূয়া সাংবাদিক? পরে, হাইওয়ে ইনচার্জের সহায়তায় গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। বারবার এমন আচর করায় এই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়।

 

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com