বিসিএস প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিয়ামকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
তবে সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন মেসেঞ্জারে সরাসরি মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করার তথ্য জাতীয় নানা গণমাধ্যমে উঠে আসে। সরাসরি মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের মতো গুরুতর একই অপরাধ করলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন আকতার। একই অভিযোগে দুই ইউনিটে দুই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্বিচারিতা বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের পদধারীরা। তারা জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন ফাঁসের বিচার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রায়হান বলেন, প্রশ্নফাঁসের মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম যেহেতু গ্রেপ্তার হয়েছে তাই তার বিষয়ে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি। এবং সে প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। আমরা বিশ্বাস করি গঠিত তদন্ত কমিটি সকল ঘটনার একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাবুল হোসেন পরাগ বলেন, প্রশ্নফাঁস একটি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। এই অপরাধ যারাই করুক না কেন ছাত্রলীগ তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ অতীতেও পার পায় নাই। এখনো পার পাবে না। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে জানা গেছে, প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য আবেদ হোসেন ও তার ছেলের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায়। অন্যদিকে আকতার হোসাইনের বাড়ি একই জেলা মাদারীপুরের একই আসনের কালকীনীতে বাড়ি। প্রশ্নফাঁস চক্রে তাদের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর