সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিশুসন্তান ও পরিবারসহ সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধকালে তিনি কর্মসূচিতে অংশ নেন। নিজের শিশু সন্তানও আগামীতে এভাবে তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিবে বলে প্রত্যাশা ওই শিক্ষার্থীর।
ওই শিক্ষার্থী জানান, বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা প্রতিবাদস্বরূপ আমার সন্তানকে আজ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। সন্তানও বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্বচক্ষে দেখুক। তরুণ প্রজন্ম যে বৈষম্যের মধ্যে পড়ে আছে, আমি সেই বৈষম্যের দ্রুত অবসান চাই। এক নারী বলছি নারী কোটাপ্রথার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ নারীরাও পুরুষের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই মেধার সঠিক মূল্যায়ন হোক।
এদিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গাছের গুঁড়ি ফেলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে মহাসড়কে ১০ থেকে ১৫ কি.মি. দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের মহাসড়কে ফুটবল, ক্রিকেট, লুডু ও দাবা খেলতে দেখা গেছে।
এসময় আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে বসে স্বরচিত গান, কবিতা, গীতিনাট্য, অভিনয়ের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় ইবি সমন্বায়ক এম. এ. সুইট বলেন, আমরা কোটাপ্রথা পুরোপুরি বাতিল চাচ্ছি না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে স্থিতাবস্থা জারি করেছে এটা আমাদের দাবির অংশ নয়। তাই এ রায়ের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। আমাদের এক দফা দাবি যতদিন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর