
কেন্দুয়া উপজেলার চন্দলাড়া গ্রামের লিয়া আক্তার (২৭) পাচার ও হত্যা মামলার ভিক্টিম লিয়া আক্তারকে মঙ্গলবার রাত ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরা অব ইনভস্টিগশনর (পিবিআই) সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। পরে বুধবার তাকে আদালত সোপর্দ করা হয়। পিবিআইয়র জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বুধবার এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে বিদ্যা মিয়ার সাথে ২০১৬ সাল একই উপজেলার চন্দ লাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে লিয়া আক্তারর বিয়ে হয়। তাদর একটি ছেলে সসন্তান আছে। গত ১৮ এপ্রিল লিয়া আক্তার তার ছেলেকে রেখে হঠাৎ স্বামীর বাড়ি থেকে নিখাঁজ হন। পরে তার বাবা আব্দুল খালেক জামাতা বিদ্যা মিয়ার বিরুদ্ধে পাচার ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত এবং আসামীদর গ্রেপ্তার জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় যে লিয়াকে কেউ পাচার বা হত্যা করনি। বাবার বাড়ির লোকরাই তাকে লুকিয় রেখে মিথ্যা মামলা দায়র করেছে । পরে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাত ঢাকার তুরাগ এলাকার জনৈক শহীদুল্লাহর ভাড়া দেয়া বাসা থেকে লিয়াকে উদ্ধার করেন তারা। বুধবার দুপুর তাকে আদালত সোপর্দ করে। এদিক মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে বিদ্যা মিয়া মঙ্গলবার রাত শ্বশুর খালেক এবং শাশুড়ি রোকেয়া ও খালা শাশুড়ি আঙ্গুরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পিবিআইয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলন, লিয়ার সঙ্গে তার বাবা-মার নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। অথচ দু-দিন পরপর তারাই পিবিআই অফিস এসে লিয়া উদ্ধার ও বিদ্যা মিয়াক গ্রেপ্তারের জন্য কাকুতিমিনতি করত। এ কর্মকর্তা আরও জানান, খালেক একটি হত্যা মামলায় সাজা ভোগ করা আসামি। পিবিআইয়র প্রেস ব্রিফিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির ছাড়াও পরিদর্শক অভিরঞ্জন দে, জাহিদুল হক এবং সহকারী পরিদর্শক আমিনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর