• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৪ ঘন্টা পূর্বে
নাসিরউদ্দিন টিটু
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০১:৩০ দুপুর
bd24live style=

কেক পেস্ট্রির রমরমা ব্যবসা, নেই উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারসহ অলি গলিতে থাকা বেকারি ও কনফেকশনারিতে থরে থরে সাজানো রয়েছে বাহারি রং ও ডিজাইনের জন্মদিনের কেক ও পেস্ট্রি। সাধারণত বেকারি আইটেম উৎপাদন করতে গেলে বিএসটিআই এর লাইসেন্স ও নীতিমালা অনুসরণ করে এসব খাদ্যপণ্য তৈরি করার নিয়ম থাকলেও কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের ডালডা ও কৃত্রিম রং ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কেক ও পেস্ট্রি। 

বিশেষজ্ঞদের মতে,এসব লোভনীয় খাবার খেলে ডায়রিয়া,আমাশয় সহ পাকস্থলী ক্যান্সারের মত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আর এতসব অনিয়ম থাকার পরেও উপজেলা স্যানেটারি অফিসার কোন প্রকার তদারকি ও কারখানায় পরিদর্শন না করেই টাকার বিনিময়ে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে গণ্য করে  দিয়েছেন ফুড সার্টিফিকেট।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুসুম বেকারি এন্ড কনফেকশনারি, শৈলী বেকারি এন্ড কনফেকশনারি, ডরিন বেকারি এন্ড কনফেকশনারি উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে একাধিক শোরুম তৈরি করে বাহারি কেক ও পেস্ট্রি বিক্রি করছে। তবে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে থাকা কেকের মধ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের কোন তারিখ নেই। বিএসটিআই কিংবা নিরাপদ খাদ্য সংস্থার কোন অনুমোদন না থাকলেও বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের কেক পেস্ট্রির সাথে পাল্লা দিয়ে চড়া দামেই এগুলো বিক্রি করছে। বর্তমানে এ সমস্ত কেক পেস্ট্রির চাহিদা বেশি ও অধিক মুনাফা হওয়ায় নামি দামি কনফেকশনারির পাশাপাশি পাড়া মহল্লার বিভিন্ন কনফেকশনারি গুলোতে কেক ও পেস্ট্রি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে তাদের নিজস্ব কোন কারখানা নেই। এরা বাইরে থেকে কিনে এনে এ সমস্ত লোভনীয় কেক ও পেস্ট্রি বিক্রি করছে। কিভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে এই কেক ও পেস্ট্রি, সে সম্পর্কে বিক্রেতাদের কোন ধারণা নেই।

অনুসন্ধানে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট অলিনগর আবাসিক এলাকার ভেতরে পাওয়া গেছে এমন একটি কারখানার সন্ধান । সেখানে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের ডালডা,পঁচা ফাটা ডিম,মেয়াদ উত্তীর্ণ বেকিং পাউডার ও কৃত্রিম রং ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কেক ও পেস্টি। এখানকার কর্মরত কর্মচারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক কেক তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন কনফেকশনারিতে সরবরাহ করে। তিন দিনের মধ্যে কেক বিক্রি করতে না পারলে সেটা কনফেকশনারি থেকে ফেরত নিয়ে এসে আবার নতুন কেক সরবরাহ করা হয়। পরে পুরাতন কেকগুলো কারখানায় এনে উপরের ক্রিমের অংশ ফেলে দিয়ে সেগুলো আবার নতুন করে আটার সাথে মিশিয়ে পুনরায় কেক তৈরি করা হয়। এ ধরনের বেশ কিছু কেক ও পেস্টি তৈরির কারখানা কদমতলী এলাকার গোলাম বাজার, তেঘরিয়া স্ট্যান্ড বাজার, এবং আটি বাজারে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ডরিন বেকারি এন্ড কনফেকশনারির আগানগর ব্রাঞ্চ এর ম্যানেজার ইমাম হোসেনের সাথে আলাপকালে কেক পেস্ট্রি এবং বেকারি পণ্য উৎপাদন করতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন সেটা আপনাদের আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জিনজিরা শাখায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাজী মোহাম্মদ শামীমের শ্বশুর ও প্রধান ম্যানেজার আনিসের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। 

পরে ডরিন বেকারি এন্ড কনফেকশনারির  প্রধান ম্যানেজার মো. আনিস বলেন, আমাদের সমস্ত কাগজপত্র আছে। আর প্রতিদিনের তৈরি করা পণ্য প্রতিদিন বিক্রি করি তাই কোন তারিখ দেওয়ার প্রয়োজন নাই। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে ডরিন বেকারি এন্ড কনফেশনারী নামের প্রতিষ্ঠানটির কোন কাগজপত্র নেই,এমনকি উপজেলা অফিস থেকে নিরাপদ খাদ্যের কোন সার্টিফিকেট দেয়া হয়নি।

তবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে উপজেলা স্যানিটারি অফিসার শাহীনুর রহমান বলেন, কেরানীগঞ্জ একটি অত্যন্ত জনবহুল ও বিশাল আয়তনের একটি উপজেলা। উপজেলার সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তদারকি করা সম্ভব না। যতটুকু সম্ভব আইন এবং নিয়ম মেনেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ খাদ্য সার্টিফিকেট দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন না করে এবং খাদ্যের গুণগতমান ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা ছাড়াই কিভাবে প্রতিবছর সার্টিফিকেট নবায়ন করা হয়,তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। 

সার্বিক বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। খুব দ্রুতই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য আইন (২০১৩) ও ভোক্তা অধিকার আইন (২০০৯) ধারা অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কিভাবে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ খাদ্যের সার্টিফিকেট দিল বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

মুনতাসির/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com