• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৩ ঘন্টা পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৮ দুপুর
bd24live style=

৩০ হাজারের রাউটার কেনা হয়েছে ৬ লাখ টাকায়!

ফাইল ফটো

৩০ হাজারের রাউটার ৬ লাখ, দেড় লাখের প্রিন্টার ১৫ লাখ!

কেনাকাটায় বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজার টাকার একেকটি রাউটার ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায়, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রিন্টার ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকায় এবং ৬০ হাজার টাকার কম্পিউটার ৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৬২ টাকায় কিনেছে। একইভাবে ল্যাপটপ, স্লিপ প্রিন্টার, এসিসহ বিভিন্ন পণ্য বাজার দরের চেয়ে কেনা হয়েছে অনেক বেশি দামে। এসব মালপত্র বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সরবরাহ ও স্থাপন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

জানা গেছে, ‘প্রি-পেমেন্ট ই-মিটারিং ইন ঢাকা ডিভিশন আন্ডার রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন প্রোগ্রাম (ফেইজ-১)’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ১১টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য এসব মালপত্র কিনেছে আরইবি।

এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েশন গ্রুপ লিমিটেড (ডব্লিউজিএল) পাঁচটি এবং হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এইচইএল) ছয়টি সমিতিতে মালপত্র সরবরাহ করেছে। একই প্রকল্পের আওতায় একই কাজের জন্য দুই ধাপে এসব মালপত্র কেনা হলেও প্রতিষ্ঠান দুটির দামের ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল পার্থক্য।

দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য আরইবি বিভিন্ন সময়ে যেসব মালপত্র কিনে থাকে, সেগুলোর সব তথ্য যাচাই করলে বিপুল পরিমাণ অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র উঠে আসবে বলে অভিযোগ করেছেন আরইবির অন্তত তিনজন কর্মকর্তা।

১১টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ছয়টি সমিতিতে মালপত্র সরবরাহের মূল্যতালিকা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি সমিতিতে ডব্লিউজিএল ৫০টি এইচপি ব্র্যান্ডের ডেস্কটপ কম্পিউটার (কোর আই ফাইভ) সরবরাহ করেছে। প্রতিটি কম্পিউটারের দাম ৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৬২ টাকা হিসাবে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ বাজারে ওই মানের একটি কম্পিউটারের দাম ৬০-৬৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে একই প্রকল্পে এইচইএল তিনটি সমিতিতে ৪০টি একই ধরনের কম্পিউটার সরবরাহ করেছে মাত্র ৫৭ হাজার টাকা করে। যার মোট মূল্য ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এদিকে, বিল পরিশোধের পর গ্রাহককে রসিদ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি প্রিন্টার কিনেছে আরইবি। এর মধ্যে ডব্লিউজিএল তিনটি সমিতিতে ৬১টি প্রিন্টার সরবরাহ করেছে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। প্রতিটি প্রিন্টারের দাম পড়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০৯ টাকা। অথচ বাজারে মানভেদে এ ধরনের প্রিন্টারের দাম ১৫ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা। তিনটি সমিতিতে ৪০টি প্রিন্টার সরবরাহ করেছে এইচইএল। তাদের প্রতিটি স্লিপ প্রিন্টারের দাম মাত্র ১৬ হাজার ৩৭০ টাকা।

২৫টি লেজার প্রিন্টার সরবরাহ করেছে ডব্লিউজিএল। প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। যার বাজারমূল্য মানভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে ২০টি লেজার প্রিন্টার সরবরাহ করেছে এইচইএল।

২৫টি নেটওয়ার্ক রাউটার সরবরাহ করে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা নিয়েছে ডব্লিউজিএল। প্রতিটি রাউটারের দাম পড়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একই ধরনের ২০টি রাউটার সরবরাহ করেছে এইচইএল। প্রতিটির মূল্য নিয়েছে ৩৫ হাজার ৩৯৫ টাকা। এর বাজারমূল্য মানভেদে ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা।

এইচপি ব্র্যান্ডের একেকটি ল্যাপটপের দাম (কোর আই ফাইভ, ১৫ ইঞ্চি) প্রায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা নিয়েছে ডব্লিউজিএল। অথচ জেনুইন অপারেটিং সিস্টেমসহ এই মানের ল্যাপটপের বাজারমূল্য ৯০-৯৫ হাজার টাকা। আর এইচইএল সরবরাহ করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬১ টাকা করে ৩৮টি ল্যাপটপ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কম্পিউটারের সঙ্গে উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটি নিবন্ধনকৃত সফটওয়্যার সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু যে ব্র্যান্ডের কম্পিউটারটি কেনা হয়েছে তাতে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনকৃত ওই সফটওয়্যার ফ্রি দিয়ে থাকে। একইভাবে স্লিপ প্রিন্টার, রাউটার এবং লেজার প্রিন্টারের সঙ্গে সফটওয়্যার কেনা বাবদ ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে সেখানে যে সফটওয়্যার ব্যবহার হয়, তাও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রি সরবরাহ করে।

তখন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন আরইবির বর্তমান পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দরপত্রের মাধ্যমে মালপত্রগুলো কেনা হয়েছে, যেখানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এখানে কিছু আইটেমের দাম বেশি মনে হলেও কোনো কোনো আইটেমের দাম বাজারদরের চেয়ে অনেক কম। যেমন একটা মিটার স্থাপন করতে ন্যূনতম ৩০০ টাকা দরকার। কিন্তু এখানে ঠিকাদার এই কাজটি মাত্র সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ টাকায় করেছে।

এ বিষয়ে আরইবির চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি একটা জরুরি মিটিংয়ে আছি। পরে আরইবির সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অন্য সেকশনের। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’

রার/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com