চট্টগ্রামে এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার্থীরা পেলেন দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন। এতে কেন্দ্রে হৈচৈ পড়ে যায়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর সঠিক পত্রের প্রশ্ন হাতে পান পরীক্ষার্থীরা।

এদিকে, ভুল প্রশ্ন বিতরণের ফলে সকাল ১০টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১২টার দিকে। তবে কার ভুলে এমনটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।

কেন্দ্রে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানায়, পরীক্ষার শুরুতে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। এরপর পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রটি পুনরায় সংগ্রহ করা হয়। আর সঠিক পত্রের প্রশ্ন হাতে পেয়ে পরীক্ষা শুরু হয় ২ ঘণ্টা পর।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্র সচিব ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলা, অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন চলে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগের রাতে সংগ্রহ করার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে প্রত্যেক কেন্দ্র সচিবকে বা তাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে ওই কলেজের প্রিন্সিপাল কেন্দ্র সচিব শিব শংকর শীলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুল প্রশ্ন বিতরণের পরে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা শিক্ষাবোর্ড এবং জেলা প্রশাসনকে জানাই। শিক্ষাবোর্ডের পরামর্শে দ্রুত সময়ে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন তুলে নিয়ে প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু করতে বলা হয়। কার ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুজন সদস্য হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ।

মুনতাসির/সাএ