কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫ টা থেকে প্রক্টরের অপসারণের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এছাড়াও প্রক্টরিয়াল নীরবতার কারণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখেন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বি এম সুমন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বিনা উসকানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। আমাদের ৩০ এর অধিক ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে নিদারুণ যন্ত্রণায় ঝটপট করছে। তাঁদের যন্ত্রণার আওয়াজ, কান্নার আওয়াজ সারা বাংলাদেশে অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের এই আওয়াজ যাদের কানে যাওয়ার কথা ছিল তারা কানে তুলা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। তাই এই হামলায় প্রত্যক্ষ মদদ দেওয়া প্রক্টর কে যতদিন অপসারণ করা হবে না ততদিন আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে কোটা আন্দোলনে যোগ দেয়ায় জহুরা মিম নামের একজন নারী শিক্ষার্থী হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ায় আমিনুর বিশ্বাস নামের একজন সিনিয়র আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় হেনস্তা করে যাচ্ছেন। আমার মাকে তুলে গালাগাল দিচ্ছেন। যার কল রেকর্ড ও স্ক্রিন রেকর্ডসহ সকল তথ্য প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর বিচারের পাশাপাশি আমিনুর বিশ্বাসের বহিষ্কার চাই।
প্রসঙ্গত, গত (১১ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুর ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধে যাওয়ার সময় পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শিকার হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর