সরকারি বিভিন্ন গ্রেডের চাকরির পরীক্ষায় প্রার্থীদের হয়ে ‘প্রক্সি’ দেন আবার কোন চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রক্সি হিসেবে বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ কাউকে প্রয়োজন হলে তাদের খুঁজে দিতেও সহায়তা করেন। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী খুঁজতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতেনাতে ধরা পড়েছেন কাউছার আলী।
গত শুক্রবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শিক্ষার্থীরা ধরে সাংবাদিক সমিতিতে নিয়ে আসেন। জানা যায়, কাউসার জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির কুয়াতপুর গ্রামের বাসিন্দা। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ সেশনে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি পড়ালেখা শেষ করেন, বলে দাবি কাউসারের।
শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছাড়াও রেলওয়ের বিভিন্ন পদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ও তার সহযোগীরা ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সরবরাহ করে আসছেন।
অন্তত তিনটি পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী হয়েছেন এবং ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী খুঁজেছেন ১৪-১৫টি পরীক্ষায়। এবারে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজার হয়ে যে প্রক্সি পরীক্ষার্থী খুঁজতে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ তথ্যের প্রমাণ হিসেবে তিনি আবু বকর সিদ্দিক রেজার সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন দেখান। সেখানে কাউছার আলীকে প্রবেশপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য আবু বকর সিদ্দিক রেজা দিয়েছেন বলে দেখা যায়।
কথোপকথনে জানা যায়, ‘রবিন’ ছদ্মনামে পরিচয় দিয়ে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজার সঙ্গে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শনিবার (১৩ জুলাই) অনুষ্ঠেয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ‘প্রক্সি’ প্রার্থী ঠিক করে দেওয়ার কৌশলে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন কাউছার আলীকে। পরে তিনি ক্যাম্পাসে এলে তাকে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে নিয়ে আসেন।
কাউছার আলী জানান, শনিবার অনুষ্ঠেয় এনটিআরটিসির লিখিত পরীক্ষায় ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে দক্ষ, এমন প্রার্থীর খোঁজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। প্রার্থী পেলে রাজশাহী লোকনাথ হাই স্কুলে রাতের মধ্যে পাঠিয়ে সকালে পরীক্ষায় বসতে সহায়তা করার কথা ছিল তার।
এদিকে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর