বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত থাকার দায়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মিজানুর রহমান ওরফে এসআই মিজান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া কুটিরপাড় গ্রাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি ও নেতাকর্মীরা জানান, দেশের বহুল আলোচিত ঘটনা বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস চক্র প্রশাসনের নজরে। চক্রটির আংশিক তালিকাও প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। সেই তালিকায় নাম আসে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজানের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেই নতুন কমিটিতে সহ সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন মিজানুর রহমান মিজান। সখ্যতাও গড়ে তোলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি'র সাথে।
ম্যাক সিক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন তিনি। যার চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। একাধিক মিজান থাকায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি পদেই তিনি এলাকায় এমডি মিজান নামে পরিচিত।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের তালিকায় নাম আসে মিজানুর রহমান মিজানের। গণমাধ্যমে নাম উঠে আসায় শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভায় সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে দলীয় পদপদবি থেকে বহিষ্কার করে।
বহিষ্কার পত্রে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধ মুলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমানকে স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সম্পাদক রফিকুল আলম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক রফিকুল আলম বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগে থেকে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু জানতে চাইলে মিজান আমাদের বলতেন, এখন এসব ছেড়ে দিয়েছি। তবুও আমাদের সন্দেহ হত। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। জরুরি সভায় তাকে পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের চিঠিও পাঠানো হচ্ছে তার ঠিকানায়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর