
আংশিক কমিটি ভাঙ্গকে কেন্দ্র করে রৌমারী উপজেলা আ’লীগের দু’গ্রুপের এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। ফলে এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর উপজেলা থেকে পুলিশ সদস্য এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়াড় চেষ্টা করা হচ্ছে।
সকাল ১১টার দিকে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু’র নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল রৌমারী ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে পথসভা করে।
পথসভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সহসভাপতি এনআর জাহাঙ্গীর রবু, সহসভাপতি রফিকুল আলম শাহিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহ নেওয়াজ তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএমএ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক আফজাল হোসেন বিপ্লব, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভার) আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি সহ প্রমূখ।
সমাবেশে সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম মিনু বলেন, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন তার দলীয় ও মন্ত্রীত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে লুটপাট, জমি দখল ও নানা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার কুমির বনে গেছেন। দলের জন্য কিছুই করেন নাই। বর্তমান অনুমোদনহীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা একজন বই চোর। সরকারি চাকুরী করার পরও তিনি কিভাবে দলের একটি ভাইটাল পোস্টে থাকতে পারেন। আমরা এই অবৈধ কমিটির বিলুপ্তি চাই, সেই সাথে একটি আহ্বায়ক কমিটি চাই।
অপরদিকে সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাকির হোসেন উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার আহসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ খোকা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় মিলিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে গ্রুপটি আজ বিশৃঙ্খলা করছে তারা একসময় আমার নিটক থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। তারা আজ বর্তমান এমপির পক্ষ নিয়ে দলটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও রৌমারী সার্কেল মমিনুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষকে বাধা প্রদান করে সতর্ক করা হয়েছে। যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘিন্ন না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর