
নেত্রকোণা সদর উপজেলার অরঙ্গবাদ গ্রামের মো. আবদুল আজিজ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা (হালট) দখল করে বাড়ি- ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে গ্রামের পানি নিস্ক্রাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোপানি নিস্কাশনধ দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও অভিযোগ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ গ্রামের ভেতর দিয়ে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য ও বর্ষায় পানি নিষ্কাশন জন্য সরকারি হালট রয়েছে। বর্ষায় ওই হালট দিয়ে গ্রামের পনি বিল তারাকুরি ও বিলগুজাবলিতে যায়। সরকারি ওই হালট দখল করে আবদুল আজিজ, আবদুল মন্নাফ ও তাদের লোকজন স্থাপনা নির্মাণ করে। এতে করে গ্রামবাসীর চলাচল ও পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়।
এ নিয়ে একই গ্রামের ফিসারী ব্যবসায়ী মো. গাজী রহমান খলিল ও তার লোকজনের সাথে মতবিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে গত ২৮ জুন আজিজের লোকজন গাজী রহমানের ফিসারীর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কেটে ফেলে। প্রতিবাদ করায় গাজী রহমান ও তার লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ২৮ জুন ভোরে আবদুল আজিজের ভাই আবদুল মন্নাফের ফিসারী থেকে জাল দিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ চুরির অভিযোগ তোলা হয়।
এ ঘটনায় ৩০ জুন আবদুল মন্নাফ বাদী হয়ে ওই গ্রামের মো. আমীর উদ্দিন, মো. গাজী রহমান খলিল, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত নেত্রকোণা সদরে মামলা করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকায় একাধিকবার দরবার সালিশ হলেও কোন কাজ হয়নি। আজিজ ও তার লোকজন কারো কোন কথা শুনেনি।
কাইলাটী ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য হাজী মো. আবদুল কদ্দুস বলেন, আজিজ ও তার লোকজন সরকারি হালট দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এতে করে গ্রামের মানুষের চলাচল ও পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। ওরা খুবই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির মানুষ, কারও কোন কথা শুনেন। এদের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।
অরঙ্গবাদ গ্রামের মো. আবদুল আজিজ বলেন, আমরা সরকারি কোন হালট দখল করিনি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের ফিসারীর মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে গাজী রহমান ও তার লোকজন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর