
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে টয়লেট থেকে বাবুল ব্যাপারী (৩৬) নামের এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করে পালং মডেল থানা পুলিশ। বাবুল ব্যাপারী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।
রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদ্রোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাবুল ব্যাপারী। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। মধ্যরাতে মা রোকেয়া বেগম ঘুম থেকে উঠে শয্যায় দেখতে পাননি ছেলেকে।
এরপর তিনি তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি নার্সদের জানান। তবে এরপরেও তাঁর কোনো খোঁজ না পেলে শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান রোকেয়া বেগম। পরে বিকেলে পুনরায় হাসপাতালে এসে ছেলের খোঁজ করেন। এর পর শনিবার সকালে অন্য রোগীরা টয়লেটে গেলে বাবু বেপারীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখলে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত বাবু বেপারীর ভাতিজি হেনা আক্তার বলেন, আমার চাচ্চু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। তিনি টয়লেটে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে এই দুই দিন কেন সেটি পরিষ্কার করা হয়নি? টয়লেট পরিষ্কার করলে আমার চাচ্চুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেত। তারা চাচ্চুকে না খুঁজে উলটো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে, আমার দাদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, একজন রোগী যখন ভর্তি হয় তাঁর দেখাশোনার দায়িত্ব নার্সদের। রোগীটি যেহেতু বেশি অসুস্থ ছিল, তাঁদের দায়িত্ব ছিল রোগীটির খোঁজ করা। আমি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব। কারো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর