কুমিল্লা নগরীর রানীর দীঘিরপাড় এলাকায়  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজকে (৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতকাই করে নিয়ে যায়। ছিনতাই হওয়ার মালামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারসহ একাধিমক মামলার দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ সময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে (১৫ জুলাই) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিপিএম বার।

 তিনি জানান, গত ১৩ জুলাই নগরীর রানীর দিঘীরপাড় থেকে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই ভুক্তভোগী সবুজ কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন ও ওসি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযানে নামে। পরে ১৪ জুলাই মধ্যে রাতে নগরীর মুরাদপুর থেকে মো. রকি (১৯) ও পশ্চিম ঠাকুরপাড়া এলাকা থেকে আল মোকাদ্দিম রিয়াজ (২৫) দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ছেনি জব্দ করা হয়। 

এছাড়া ছিনতাইকৃত ৪ হাজার ৫০০ টাকা টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার রকি নগরীর রানীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে ও আল মোকাদ্দিম রিয়াজ নগরীর রানীর বাজারের নোনাবাদ কলোনী এলাকার সৈয়দ আহম্মদ খোকনের ছেলে। 

তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে শহর ও আশপাশ এলাকায় ছিনতাই করত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে - অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, নাজমুল হাসান, কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাকিল/সাএ