নড়াইলের চাঞ্চল্যকর ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় মিন্টু শেখ নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু শেখ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের ইউনুছ শেখের পুত্র।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন। এছাড়া এ মামলার অন্য আসামী একই গ্রামের মোঃ রাজা শেখ, মোছাঃ জরিনা বেগম, মোসাঃ মিনি বেগম ও মোঃ লিয়াকত শেখকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্বশর্তæতার জের ধরে গত ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পরে আসামী জরিনা ও মিনি বেগম ফিরোজ শেখের স্ত্রী লিপি বেগমকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয় এবং মীমাংসার কথা বলায় লিপি বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আসামী পক্ষের লোকজন মীমাংসা না করে একই বছরের ২৭জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহত ফিরোজ শেখের বাড়িতে ঢুকে আসামী রাজা শেখের হুকুমে আসামী মিন্টু শেখ ফিরোজ শেখকে খুন করার উদ্দেশে লোহার মোটা শাবল দিয়ে ফিরোজ শেখের মাথায় বাড়ি মারলে মাথার তালুর পিছন অংশে লেগে মাথার তালু ফেটে ভিতরে বসে যায়। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এসময় স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে কালিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে ভর্তি করে। পরবর্তীতে আহত ফিরোজের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন ফিরোজ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুদ্দুস শেখ বাদী হয়ে একই বছর ৩০জুলাই কালিয়া থানায় মিন্টু শেখসহ ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামী মোঃ মিন্টু শেখের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোডের ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এবং অপর ৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের আদেশ দেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর