আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলাধীন সাবেক ৫২ নং বর্তমান ৩৪নং(বিএস) উত্তরটিয়াখালী মৌজায় ভূমি জরিপে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল ও, ভূমি মন্ত্রী , বরগুনা জেলা প্রশাসক, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন টিয়াখালী মৌজার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টায় বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন টিয়াখালী মৌজার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,আমতলীর সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, ইউপি সদস্য সোহেল খান.শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম.খালেক বিশ্বাস, আজিজ হাওলাদার , আনোয়ার হাওলঅদার,আব্দুল খালেক হাওলাদার, রেদৌস আকন, আমিনুল মৃধা হাশেম গাজী প্রমুখ।মানববন্ধনে টিয়াখালী মৌজার পাঁচ শতাধিক ভূমি মালিকসহ ভুক্তভোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমতলী উপজেলাধীন ০৬নং আমতলী ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী মৌজায় ২০১৭ ইং সালে ভূমি জরিপ কার্যক্রম চলছিল। ইতিমধ্যে মাঠ জরিপে অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ০৬নং আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়ের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। যাহার প্রেক্ষিতে প্রায় ০৪ (চার) বছর উক্ত জরিপ কার্যক্রম স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে জরীপ কার্যক্রম শুরু হলে ভূমি মালিকগণ জরীপ অফিসে গিয়ে দেখতে পায়, এক মালিকের জমি অন্য জনের নামে কিংবা মৃত ব্যক্তিদের নামে এবং জেলা প্রশাসকের নামে নামজারী করে ডিপি/পর্চা করিয়েছে এবং আধা শতাংশের কম জমিতেও ১টি দাগ/ডিপি করিয়েছে, যাহাতে ওয়ারিশ রয়েছে ৪ জন। এভাবে মনগড়া ইচ্ছামতো নামে বে-নামে ও নাল জমি সরকারী খাসে ডিপি/পর্চা খুলিয়াছে।
উক্ত মৌজায় বি.এস দাগ হবে প্রায় ৫০০০ (পাঁচ হাজার) কিন্তু ৩০ ধারা কেস হয়েছে প্রায় ১১০০০ (এগার হাজার)।ইহাতে পরিলক্ষিত হয় যে, তারা পরিকল্পিত এবং মনগড়া কাজ করিয়াছেন। এই দাগ সংশোধন করতে হলে তারা প্রতি শতাংশ জমিতে ১০০০ (এক হাজার) টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে বি.এস ডিপি/পর্চা করার কথা বলেন। প্রতিটি ডিপিতে ৩০ ধারা করতে হলে তাদেরকে (অফিস কর্মকর্তা) ৩০০ (তিনশত) টাকা দিয়ে ৩০ ধারা করতে হয়। ভূমিমালিক গগনের সাথে কোন গণসংযোগ ও মাইকিং না করে তারা মাঠে ক্যামেরা দিয়ে নকশা তৈরী করে। ভুক্তভোগীরা উত্তর টিয়াখালী মৌজাবাসী পুনরায় ডিজিটাল ভূমি মাঠ জরিপ চাচ্ছে।
৫২নং উত্তর টিয়াখালী মৌজাবাসী পটুয়াখালী ভূমি জরিপ সেটেলমেন্ট অফিসার (ইনচার্জ) এর দপ্তরে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করার পরেও কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট সেখানে ৩ মাসের মধ্যে উক্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য বাদী পক্ষের অনুকূলে রুল জারি করেন। রিট পিটিশনের রুলের কপি পটুয়াখালী ভূমি জরিপ সেটেলমেন্ট অফিসার (ইনচার্জ) এর দপ্তরে গত ২/৪/২৪ ইং তারিখ বাদীপক্ষ পৌঁছে দেন এবং রিসিভ কপি স্বাক্ষর করিয়ে আনেন। কিন্তু রিট পিটিশন রুল অনুযায়ী ভূমি জরিফ অফিস কাজ করছেনা।
আমতলী ভূমি জরিপ অফিসের অফিসার গন মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ ও বিধি অমান্য করে তোর-জোর করিয়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ৩০ ধারা আপত্তির কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।এসুযোগে এক শ্রেণির দালালরা ও অসাধু কর্মকর্তারা কাগজ পত্র ঠিক করে দেয়াড় নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে ভূমি জরিপের এসব অনিয়ম বন্দের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে আমতলী ভ্রম জরিপ অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর