ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চাপা আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। আতঙ্কের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হল ত্যাগের খবরও পাওয়া গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলে কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কি-না এমন সন্দেহ ফোন চেক, মারধর এবং হলছাড়া করার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল থেকে রাতের বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করাতে মারধরের শিকার হয়েছেন স্যার এ এফ রহমান হলের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বাসিত, শাকাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারুক ও তাওহীদ ইসলাম। এর মধ্যে শাকাওয়াত, লিমন ও মোর্শেদকে হল ত্যাগে বাধ্য করা হয়।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। আমি হলের রুমে রুমে আবাসিক শিক্ষকদের পাঠিয়েছি। তারা রুমে রুমে শিক্ষার্থীরা ঠিক আছে কিনা তারা সেটি দেখেছেন।
এদিকে বিজয় একাত্তর হলের প্রবেশপথ এক শিক্ষার্থীকে লাঠি-স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এছাড়াও সবমিলিয়ে এই হলে সাত জনের মতো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে গণমাধ্যমকে জানিয়ে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
এদিকে সংঘর্ষ-হামলার ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই হল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুপুর থেকে অন্তত হলেও এ পর্যন্ত ২০ বারের অধিক কল দিয়েছি। জানতে চেয়েছে কি অবস্থা এখন। তাই পরিবারের সদস্যরা বলছেন বাড়ি চলে আসি যেন। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, ক্লাস শুরু হলে আসবো। তবে এখন হলে হয়তো আর ওঠা হবে না।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর