চলমান কোটা আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এরপরেই রংপুরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওয়ানা হয়।
পথে খুবই বেপরোয়া আচরণ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় স' ময় টিভি সহ চার সাংবাদিকের উপর হামলা করে। সেই সাথে ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষসুত্রে জানা যায়, কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহতের ঘটনা ঘটার পরপরই রংপুরের অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পরেন এবং চড়াও হন তারা। সব কলেজের শিক্ষার্থীরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওয়ানা হন এবং পথের মধ্যে দোকানপাটে হামলা চালান, গাড়ি ভাঙচুর করেন। পথের মধ্যে স ময় টিভির তিন সাংবাদিকের দেখা পান এবং তাদের উপর চড়াও হন। এসময় তাদের বেধরক মারপিট করেন এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এতে সময় টিভির রংপুরের রিপোর্টার আব্দুর রশিদ জীবন, রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেল ও ক্যামেরা পার্সন তরিকুল ইসলাম আহত হন। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন তরিকুল ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এছাড়াও বাংলাভি শনের ক্যামেরাপার্সন জনিও হামলায় আহত হয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রায় ১২ জন সাংবাদিক আটকা পরেছে। তারা কোনভাবেই বাইরে বের হতে পারছে না।
অন্যদিকে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেন এবং লাশ ভ্যানে তুলে মর্গে নিয়ে যান তারা। এঘটনায় পুরো রংপুর নগরীতে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর