জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মধ্যরাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে জাবি শাখা ছাত্রলীগ ও বহিরাগতরা।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-পুলিশ-শাখা ছাত্রলীগ ও বহিরাগতের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক গুলিবিদ্ধ ও আরেক শিক্ষক সাত সাংবাদিক সহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে যোগ দিয়েছে সাভারের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর দুইটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ, বিপিএটিসি স্কুল এন্ড কলেজ, ধামরাই কলেজ, মির্জা গোলাম হাফিজ স্কুল এন্ড কলেজ এবং বেপজা কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে আন্দোলনে যোগ দেয়। এছাড়া গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাহাঙ্গীরনগরে চলমান আন্দোলনে যোগ দেয়।
এসময় তাদেরকে আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, কোটা না মেধা, মেধা মেধা, আমার ভাই আহত কেন? জবাব চাই দিতে হবে।
রাস্তায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের বাধা উপেক্ষা করে এসেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে মূল গেইটসহ আরো কয়েকটি গেইট দিয়ে আসতে থাকে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, নবীনগর, সাভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ, যুবলীগ অবস্থান নিয়েছে। তারা আমাদেরকে আসতে বাধা দিয়েছে৷ কিন্তু আমরা তাদের বাধা মানিনি। পরে আমরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তারা আসতে দিতে বাধ্য হয়েছে।
আন্দোলনে যোগদানের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, ‘নিজেদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করা একটি গণতান্ত্রিক চর্চা কিন্তু সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিচয় দিয়েছে। গতকাল রাতেও তারা পুলিশের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগরে হামলা চালিয়েছে। এজন্য আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াতে আমরা এসেছি।’
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর