ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে আয়োজিত কোটাবিরোধী মানববন্ধনকারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাসন্তান পরিচয়দানকারী কয়েকজন যুবক হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে দুপুর ১টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-বাসদ মার্কসবাদী দলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, সদস্য নয়ন পাশা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বায়ক নাজনিন সুলতানা, সংগঠক মোবারক জামশেদ, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সদস্য সুফিয়া আক্তার ডলি, সংগঠক রায়হান কুমুর প্রমুখ।
তাঁরা আরো জানায়, বক্তব্য চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের ফেনী জেলা সভাপতি মফিজ উদ্দিন মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন পাটোয়ারী এবং ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবক ওই মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে হাতাহাতির একপর্যায়ে মানববন্ধনকারীদের মারধরও করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত করেন।
জেলা বাসদ নেতা জসিম উদ্দিন জানান, জনগণের অর্থে পরিচারিত পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে আমাদের মারধর করা হয়। হামলাকারীদের আঘাতে আমার নাক ফেটে যায়। এসময় কয়েকজন নারী সদস্যদেরও তারা মারধর করা হয়েছে।
একই দলের সুফিয়া আক্তার ডলি জানান, ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের মানববন্ধন চলছি। এসময় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ধারীরা বাম জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে। দেশের জনগণ কী বানের জলে ভেসে এসেছে।’
অথচ, ফেনী মডেল থানার ওসি মো: রহুল আমিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ার সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর