তিস্তা নদীর স্রোতে ভেসে আসা অজ্ঞাত লাশটি ভারতের অঙ্গরাজ্য সিকিমের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আরসি রামচন্দ্র পাউডেলের বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।।
মঙ্গলবার (১৬জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তার মরদেহবাহী গাড়িটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের দিকে রওনা করেছে। সেখানে উভয় দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্প্যান বাঁধ এলাকার মাঝের চর থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিস্তা নদীর বাম তীরের উপজেলার সলেডি স্প্যান বাঁধ-২ এলাকার মাঝের চরে তিস্তার পানি কমে গেলে চরে একটি লাশ আটকে যায়। এটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মরদেহের হাতে একটি হাত ঘড়ি থাকলেও পড়নে কোনো পোশাক ছিল না। হাত বাঁধা ছিল রশিতে। তবে দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় মরদেহটিতে পাচন ধরায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারছিল না কেউ। পরে হাত ঘড়ি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তি আরসি রামচন্দ্র পাউডেল ভারতের সিকিম রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে তার মরদেহ তিস্তা নদী হয়ে ভেসে আসে বাংলাদেশে। পরিচয় শনাক্তের পরে তার মরদেহ লালমনিরহাট মর্গ থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠায় পুলিশ। সেখানে উভয় দেশের প্রশাসনের উপস্থিতিতে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই সেটিপুলে তার ভগ্নিপতির বাসভবনে যাওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হোন। পরে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তার সন্ধান বের করতে না পেয়ে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। নিখোঁজের ৮দিন পরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সলেডি স্প্যান বাঁধের মাঝের চরে তিস্তা নদীতে লাশ ভেসে উঠে এবং অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় মরদেহে পচন ধরায় পরিচয় শনাক্ত করতে বিলম্ব হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পরে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর চেক পোস্টে পাঠানো হয়েছে। সেখানে উভয় দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর