চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমনে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে গভীর রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসে হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আজ রাত ৮টায় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে একটি জরুরি সভা হয়। সেখানে গভীর রাতে কুবি ক্যাম্পাসে হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে আলোকে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ পূর্ণ প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা যায়। এই খবরটি রাত ৯টার দিকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রায় ২০০ বাইক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা শহরে জড়ো হচ্ছে।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে আসার সুযোগ করে দিচ্ছেন। 

এবিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমাদের ঐখানে কাজ করে? আমরা আমাদের এলাকায় আছি আমরা ঐখানে গিয়ে কি করবো। এটা আমাদের ইউনিটেও পড়ে না সংসদীয় আসনেও পড়ে না৷ আমরা ঐখানে কী করবো!

হামলার আশঙ্কার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমিও এইরকম কথা শুনেছি। এরপর আমি ওসির সাথে চারবার কথা বলেছি। উনি কনফার্ম করেছে ওরা আসবে না৷ তারপরও পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে। 

যদি হামলা করে তবে এর দায়ভার নিবেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওসি আমাকে কনফার্ম করছে এইরকম কোন কিছু হবে না।

এই বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আলমগীর ভুঁইয়া বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা এমন কোনো মেসেজও পায়নি। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবো এবং নজরদারি বাড়াবো।

প্রসঙ্গত, গতকাল সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই মিছিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় ১০ হাজার মতো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

শাকিল/সাএ