সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সারা দেশে শিক্ষার্থীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নতুন ইপিজেডের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি। তবে আহতদের সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নতুন ইপিজেড ও বাইপাইল এলাকায় দেখা যায়, কোটাপদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সারা দেশে শিক্ষার্থীসহ ৬ জন নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আশুলিয়ার সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নতুন ইপিজেডের সামনে যায়। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে এগিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বাইপাইল মোড় দখল নেয়। এসময় বিজিবির কয়েকটি গাড়ি টহল দিলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের হাত ভেঙ্গে যায়, অন্যান্যরা গুরুতর আহত হন। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমাদের ভাই ও বোনদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। নির্বিচারে গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় অনন্ত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর