এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ প্রবেশ করে। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বেলা ১ টার দিকে শহিদ মিনারের সামনে দুই পক্ষের এ মুখোমুখি অবস্থান দেখা যায়। এর আগে, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসে দেড় শতাধিক পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রবেশ করে। এছাড়া আরো বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব সদস্য ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেট) বাহিরে অবস্থান করছেন।
এ সময় আন্দোলনকারীদের দুইজন প্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেন। আন্দোলনকারী বলেন, আমরা চাই হল ভেকেন্টের সিদ্ধান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরে আসুক। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন পুলিশি হামলা না হোক। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি আমাদের হল ভ্যাকেন্ট যেন না হয়। তারা এই সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সবাই হলে অবস্থান করবো।
তারা পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আমরা চাই আমাদের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিশ না আসুক।আপনারা ফিরে যান। আমরা একটা প্রতিনিধি দল শিক্ষকদের সাথে আলোচনার জন্য পাঠিয়েছি। আশা করি সিন্ডিকেট তার হল ভ্যাকেন্ট এর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন।
দুপুর সারে ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় ক্যাম্পাসে দুই শতাধিক পুলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস ও ট্র্যাফিক) মো. আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে ক্যাম্পাসের জানমাল রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্নিত না হয় এজন্য আমরা এসেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হল ভ্যাকেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৭/৮ জন শিক্ষক আহত হয়েছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তিনি তাদের নাম বলতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি৷
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর