রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশিও জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, আশপাশের এলাকায় মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন ওঁতপেতে থাকতে পারে, তাই তারা সতর্কতাতা অবলম্বনের জন্য তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে লাঠি সোঁটা নিয়ে কোটা বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে থাকে। দুপুর আড়াই টায় গায়েবানা জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ভিক্টোরিয়া পার্ক, সদরঘাট, জবির প্রধান ফটকে তল্লাশি বসায় শিক্ষার্থীরা। সদরঘাটমুখী সব যানবাহনকে ফিরিয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ব্যতীত বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় বিশ্রামরত সকলকে জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে, এবং শিক্ষার্থীরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে কবি নজরুল কলেজের সামনে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ধাওয়া দিয়েছে জবি শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ছাত্রলীগ সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়েছে তারা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম সামী বলেন, আমাদের উপর যেহেতু হামলা করা হয়েছে গতকাল, তাই সন্দেহজনক কাউকে দেখলে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। সবাইকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আর কারো মোটর সাইকেলে ছাত্রলীগ লিখা থাকলে তাকে জিজ্ঞাসা করা করছি।
ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম জাকারিয়া বলেন, মূলত আমরা প্রতিহত করছি, আমরা কাউকে অহেতুক কষ্ট দিচ্ছি না। আমাদের যে যৌক্তিক দাবি, তাতে বিশেষ এক ছাত্রসংগঠন বাধা প্রদান করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তা প্রতিহত করছি।
আব্দুল্লাহ নামে অপর একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করছে। যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার মতো কেউ নেই, নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর