গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরের সামনে গায়েবানা জানাজা শেষে টিএসসির উদ্দেশ্যে কফিন মিছিল শুরু হলে এতে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে টিএসসি দিকে চলে যান আন্দেলনকারীরা। এসময় মিছিলটি লক্ষ্য করে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ টিয়ারশেল এবং একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সোয়া চারটা থেকে এই প্রতিবেদনে লিখা পর্যন্ত একের পর পর টিয়ারশেল এবং একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকেন তারা। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যেতে চাইলে, পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। পুলিশ মানব ঢাল হয়ে থাকলেও দীর্ঘ ধস্তাধস্তি এবং পুলিশকে সরে দিয়ে তারা টিএসসির দিকে গমন করেন। একদিকে পুলিশের পুলিশ টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ; অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এছাড়া আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ছাদ থেকে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলায় জেলায় গায়েবানা জানাযা ও কফিন মিছিলে কর্মসূচি দেয় কোটা সংস্কার দাবিতে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর