ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর-হামলা চালিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় 'হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কৈ', ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে', 'অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'কোটা আন্দোলনে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই', 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা', 'ইবিয়ানরা আসছে, রাজপথ কাঁপছে'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
ভাঙচুরের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, অফিস আমাদের কাছে তীর্থস্থান। এই অফিসে যারা হামলা চালিয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থী নামধারী ছাত্রদল-শিবির। আমরা এই হামলার প্রতিশোধ নিবো।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস, বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ও হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিকাল সোয়া চারটার দিকে ৩০ মিনিটের মধ্যে হল খোলার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল খোলা না হলে হলের তালা ভাঙার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সাথে বৈঠকে বসেন। আলোচনা শেষে হল না খোলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সকালের মধ্যে হল খোলার আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ শেষ করেন।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অযৌক্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। মাননীয় উপাচার্য আগামীকাল সকালের মধ্যে হলের তালা খুলে দেন। না হলে আমরা নিজ দায়িত্বে তালা খুলতে বাধ্য হবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব৷
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর