
শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রঘুনাথ বাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শহর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে সাংবাদিক জাহিদ হোসেন খোকন, জাকির, জান্নাতুল মিম, তুহিন, সুজন, নাহিম, মাসুদ রানা, তাসদিত, রিয়া, তালহাজ, লোকসান, শরিফসহ আরো অনেকেই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, টিয়ারসেল ছুড়ার সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল (১৭ জুলাই) ৩টার দিকে শেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা প্রথমে একটি বিক্ষোভ মিছিলে বের করে শহরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের একটি মিছিল শহরে প্রবেশ করে। এতে আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ সময় পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। প্রথমে আন্দোলনকারীরা পিছিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর আবার তারা শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে থানা মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে পিছিয়ে যায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ আবার সংঘবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ আবারও কয়েক রাউন্ড গুলি এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এভাবেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এই সংঘর্ষের সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে জাহিদ হাসান খোকন নামে এক সাংবাদিক আহত হন। বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বর্তমানে পুরো শেরপুর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর