জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাবার বুলেটে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ শুরু করে। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা ১৩ জনকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে রেফার করেছি। রাবার বুলেটবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ বলেন, রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে রাবার বুলেট বিদ্ধ তিনজন এসেছে। তাদের মধ্যে তানভীর ও সাকিব নামে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে আছে। তাছাড়া মোট ১৭ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
এছাড়া, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ ২৪ এর সাংবাদিক নাজমুল হুদা রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে, দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেন এবং প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর