ঢাকার সাভারে ঢাকা আরিচা ও নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ধাওয়া পালটা ধাওয়াসহ ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় এসময় পুলিশের গুলিতে ইয়ামিন (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
বৃহস্পতিবার (১৮ই জুলাই) বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিটে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী।
নিহত ওই শিক্ষার্থী ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজির শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় এনাম মেডিকেলে আনা হয়েছিল।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে ইয়ামিন নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হন। পরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে পুলিশ পিছু হটে। বর্তমানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাস্টস্ট্যান্ড এলাকা আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড ও নবীনগর-চন্দ্রা মাহাসড়কের ডিইপিজেড এলাকায় আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে নবীনগর ও নতুন ইপিজেড এলাকায় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড, সাভার বাস স্ট্যান্ড ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাদের ওপর হামলা করলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ১ জন।
এবিষয়ে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার নাম ইয়ামিন। তিনি ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এর বেশি তথ্য নেই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর