
কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় অন্তত চারটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকে উত্তরার বিভিন্ন অংশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাজলক্ষ্মী, হাউসবিল্ডিং ও আজমপুরসহ চারটি পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল-রাবার বুলেট-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং আহত প্রায় ৫০০ জন।
আহতদের চিকিৎসা দিতে কয়েকটি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স রাস্তায় নেমে আসেন। তারা আহত ও রক্তাক্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। গুরুতর আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকিলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাদরাসার ছাত্র, ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের লোক ঢুকে গেছে। তারা পুলিশের গায়ে হাত দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে। তবে আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি, এটা দুর্বলতা নয়। আমাদের ধৈর্যকে যারা দুর্বলতা মনে করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমি অনুরোধ করছি আপনারা ঘরে ফিরে যান।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান ডিবিপ্রধান।
উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল (বুধবার) ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর