
বন্ধুদের সাথে কোটা আন্দোলনে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল কেরানীগঞ্জের যুবক নাদিমুল হাসান এলেন (২৪)। নিহত এলেন রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।নিহত হওয়ার ১২ দিন পর আজ বুধবার সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এখনো আত্মীয়-স্বজনের ভিড় লেগেই রয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পূবশান্ত পাড়া এলাকার বাসিন্দা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শাহ আলমের তিন পুত্রের মধ্যে এলেন ছিলেন বড়। ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা কিসমত আরা বারবার মূর্ছা যাচ্ছে।
গত ১৯শে জুলাই শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায় শেষে মাকে ফোনে জানায়,সে বন্ধুদের সাথে একটি জরুরি কাজে যাচ্ছে,একটু পরে বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করবে। পরে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে তারা কোটা আন্দোলনে অংশ নিতে রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা একত্র হয়ে আন্দোলন শুরু করলে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের চালানো গুলিতে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয় এলেন। পরবর্তীতে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের বাবা শাহ আলম জানান, আমাদের বংশে কেউ উচ্চশিক্ষিত নেই। তাই ছেলেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠাবো এমন প্রস্তুতি নিয়ে টাকা পয়সা জোগাড় করতে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কোটা আন্দোলনে গিয়ে ছেলে মারা যাবে এমনটা কখনো ভাবতে পারিনি। আন্দোলন তো একসময় ঠিকই শেষ হবে কিন্তু আমার ছেলে তো আর কোনদিন ফেরত আসবে না। আমি ছেলে হত্যার বিচার কার কাছে চাইবো?
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর