ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও ‘সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যা’র প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
সমাবেশে বক্তারা কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আটক শিক্ষার্থীসহ অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারফিউ তুলে নিতে হবে। ব্লক রেইডের নামে গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এদিকে আগামীকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি’ ঘোষণা করেছেন। তাঁরা দ্রোহযাত্রা নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন।
এতে বক্তৃতা রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াসিমা ও বায়েজিদ ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশরেফা অদিতি হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষক ইমরুল আজাদ, নর্থ সাউথের শিক্ষক রিয়াসাত খান প্রমুখ।
এরপর সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছে। অন্যদিকে সকাল ১০টায় লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকরা এবং ১১টায় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা সমাবেশ করেন।
এর আগে, ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াড় দাবিতে সমাবেশ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর