
ছাত্রসমাজ একটা ফুলের বাগান; তোরা ফুল ছিড়তে পারবি, কিন্তু বসন্তকে কিভাবে আটকাবি? এরকম বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বরগুনায় বৃষ্টির মধ্যেই চলছে ছাত্র-জনতার গণমিছিল। বরগুনা কেন্দ্রীয় সদরঘাট মসজিদ ও বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেয় অভিভাবকরাও। বেলা আড়াইটা থেকে বরগুনা কেন্দ্রীয় সদরঘাট জামে মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে সদর রোড আটকিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে।
সমন্বয়ক মুঈদ হাসান, মীর নিলয়, জিসান আক্তার বাধন, ইমাম হোসেন, রাশেদুল ইসলাম রেশান, সাজ্জাদ হোসেন আশিক সহ কোটা বিরোধী নেতৃবৃন্দ ছাত্র জনতার গণমিছিলের ডাক দেন। নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, আলেম-ওলামা, শ্রমিক, অভিভাবকসহ বরগুনার সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো মানুষ অংশ নেন। মিছিলে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।
আন্দোলন ঘিরে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। এ সময় টহলরত নৌবাহিনী দুইটি বহর প্রেসক্লাবের সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদের আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে উঠলে তারা পাশ দিয়ে চলে যান।
রক্তে আগুন লেগেছে লেগেছে, অন্তর যায় জ্বলি, রেমিটেন্সের কেনা গুলি নিচ্ছে করে ন্যায্য বুলি, কোটা সংস্কার করতে গিয়ে সোনার ছেলেরা হল বলি, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ্য সাঈদ ঘরে ঘরে, লাশের জন্য কত কোটা?, ওরা আমাদের জানাজা পড়তে দিল না, বর্বরতার বিচার চাই, এককভাবে আমি শুধু একটা বিন্দু একসাথে আমরা বিশাল এক সিন্ধু এই সকল ভিন্ন ভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় বরগুনার প্রেসক্লাব চত্বর। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষার্থী মুঈদ হাসান, মীর নিলয়, জিসান আক্তার বাধন, ইমাম হোসেন, রাশেদুল ইসলাম রেশান, সাজ্জাদ হোসেন আশিক প্রমুখ। বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট শেষে মৌন মিছিল সহকারে বরগুনা সরকারি কলেজ কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর