নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জে পৃথক দুটি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা সড়ক চলাচল বন্ধ ছিল। নীলফামারীর সৈয়দপুরে তেলবাহী লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরোহী দুই সহোদর নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা ১টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ওয়াপদা নয়া বাজার স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাছারি শাহাপাড়ার ইলিয়াস হোসেনের ছেলে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক সুমন ইসলাম (২৭) ও সিয়াম হোসেন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহীরা সৈয়দপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা ওই স্থানে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা তেলবাহী লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিহতদের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে নীলফামারী সদরের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
অপরদিকে জেলার কিশোরগঞ্জে মালবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যাত্রী পরিবহনকারী মাইক্রোবাসের তিন যাত্রী নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা একটার দিকে ডালিয়া-রংপুর সড়কের কিশোরগঞ্জের তিস্তা ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সোনাকুড়ি নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাস যাত্রী জলঢাকা উপজেলার পৌরসভা এলাকার চেরেঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মাজেদুল ইসলাম (৪৫) ও ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের নুরল হকের পুত্র আনারুল ইসলাম (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জলঢাকা উপজেলা থেকে একটি যাত্রী পরিবহনকারী মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা মাল বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলই দুইজন নিহত ও চারজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই আরো একজনের মৃত্যু ঘটে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানান, দুইজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর