
মুন্সিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষ এখনও চলমান রয়েছে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।
দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল। তিনি বলেন, “তাদের নামপরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি আহত মানুষ এসেছেন।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে হাজার খানেক আন্দোলনকারী মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে ছাত্রলীগের ৫০/৬০ জন সদস্য লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের তাড়া করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
এক পর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
আন্দোলনকারীরা কিছু সময়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বর ছেড়ে গেলেও আধা ঘণ্টার মধ্যে তারা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগকে তাড়া দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে অবস্থান নেয়।
এ সময়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেখানে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া চলে।
সর্বশেষ খবর