রংপুর নগরীতে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, পূজা উদ্যাপন পরিষদের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ'লীগ নেতা হারাধন রায়সহ ৩ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ সাংবাদিকসহ শতাধিক। গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বাকি দুইজন হলেন হলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও নগরীর গুড়াতিপাড়ার বাসিন্দা খুসরু ও যুবলীগের কর্মী মাসুম (৩১) ।
অপরদিকে, বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট, যুবলীগ নেতা পুলিন চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট হয়েছে। একইভাবে মিঠাপুকুর উপজেলার ইউএনও কার্যালয়, সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, প্রেস ক্লাবের সামনে রাখা ১১টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নগরজুড়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীর টাউন হল চত্বরে সমবেত হতে থাকে। অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সিটিবাজার থেকে শুরু করে জাহাজ কোম্পানি এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিন্নাত হোসেন লাভলু,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা চৈতি সহ ৯ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।তবে এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর