
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জন গুরুতর আহত ও ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন উপজেলার বড় হড়া এলাকার মাসুম মিয়া (৪৫) ও মহসিন (৩৫) মুনসেফপুর এলাকার মো. বাদল মিয়া (৪৫), উত্তরগাঁও এলাকার ইসমাইল হোসেন (৩৫), শরীফ হোসেন (৩৩) এবং জাহিদ (২১), জামালপুর এলাকার মো. ইমতি (২১) ও কাকাব এলাকার দারুল মির্জা (৪৫)।
রবিবার (৪আগষ্ট) সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দিতে লাঠি সোটা হাতে নিয়ে জড়ো হতে থাকে। উপজেলার কাপাসিয়া মোর, কালিগঞ্জ সদর, বালিগাঁও, টঙ্গী-কালিগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ ছাত্ররা ২টি মোটরসাইকেল সহ সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ৬ জন গুরুতর আহত হন এবং ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার টঙ্গী-কালিগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মোড়ল মার্কেট এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে সাধারণ ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগ কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ করলে ছাত্ররা রেল সড়ক থেকে পাথর ছুড়তে থাকে। এতে করে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাদল মিয়া (৪৫) গুরুতর আহত হন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের একাংশ তুমলিয়া এলাকার কাপাসিয়া মোড়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর মোল্লার বাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তানভীর মোল্লার বাড়িতে থাকা ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। সকাল থেকেই টঙ্গী-কালীগঞ্জ ব্যস্ততম মহাসড়কটি ছাত্ররা তাদের দখলে নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা ঐ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নি সংযোগ করে। বিকাল ৪ টার দিকে ছাত্ররা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ফিরে যায়।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনজুর-এ-এলাহী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে আটজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ওই দুইজনের মাথায় এবং পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে। তাদেরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে। আমরা সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ করছি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর