
সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশের সাথে ছাত্রজনতার সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। রোববার (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন-উপজেলার ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার তাজ উদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের মিছিম এলাকার বাসিন্দা নজমুল ইসলাম সানি (১৮) পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মৃত মখন মিয়ার ছেলে ড্রাইভার গৌস উদ্দিন (৩৫)। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ দুপুরে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে চায় পুলিশ। সেখানে বিজিবিও উপস্থিত ছিল। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে এসময় এলাকাবাসী সংঘর্ষে জড়িত হন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী পুলিশ-বিজির দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে এবং পুলিশ-বিজিবি গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি পিছু হটতে বাধ্য হন।
এদিকে, তাজ উদ্দিনের লাশ নিয়ে পৌরশহরে এসে ধারাবহর এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এতে স্থানীয়রা যোগ দিলে সংঘর্ষ হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. সুদর্শন সেন দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। তবে লোকজন বলাবলি করছিল ৪ জন মারা গেছে। আমরা কেবল দুই জনের মরদেহ পেয়েছি।
এছাড়া সংঘর্ষে আরো ৩০/৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, বলেও জানান এই চিকিৎসক।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর