মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাহারুল ইসলাম বাওট গ্রামের গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতের পক্ষে আহতরা হলেন, বাওট গ্রামের নাহারুর ইসলামের বড় ভাই আইনাল হক(৬২), আব্দাল হোসেন(৫৮),ইনামুল হক(৪০), ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার মহিবুল ইসলাম(৬৮), আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম(৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)সহ অনেকেই।
আহত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসাম জানান, তুচ্ছ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকান ভাঙচুর করেন ইনামুল হক ও তাদের লোকজন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইনামুল হক ও তার লোকজন দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায় আমাদের লোকজনও তাদের মহড়া প্রতিরোধ করতে দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন।
বাওট গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাববুদ্দিন ইসলাম জানান, ইনামুল ও তার পরিবারে সদস্যরা বিএনপি করে। ইউপি নির্বাচনে আমার পক্ষে হয়ে তারা কাজ করেছেন।
মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা বিবাদে জড়ায়। ইউনিয়ানের নেতাকর্মীকে বলা আছে আওয়ামী লীগ সরকারের মত যেন মানুষ হত্যার রাজনীতি না করে। ইউনিয়নের সকল সাধারণ মানুষের জান—মালের হেফাজত করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহতের খবর দিলেও ঘটনা স্থলে কোনো পুলিশ আসেনি। রাত দেড়টার দিকে নিহত নাহারুলের মরদেহ বাধ্য হয়ে গাংনী থানায় রেখে এসেছে তাঁর স্বজনেরা।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর