কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫দিন যাবত চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন মেধাবী শিক্ষার্থী তাওহীদ আলম শিহাব। সে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে এ বছর এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল এবং পূর্বধলা জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের বিশকাকুনী গ্রামে। তার পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বিজিবিতে কর্মরত এবং মাতা সেলিনা শরীফ পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের ধলা যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। শিহাবের দাদা পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আব্দুল আজিজ তালুকদার।
পরিবারের লোকজন জানায়, তাওহীদ আলম শিহাব কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকেই রাজপথে ছিল। গত ৪ আগস্ট শিহাবসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল ঝিগাতলা মোড় থেকে সাইন্সল্যাবে যাচ্ছিল। একই সময়ে অপরদিকে থেকে যুবলীগের একটি মিছিল আসলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সীমান্ত স্কায়ারের সামনে শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সহপাঠীরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে বিজিবি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার একটি অস্ত্রোপচার হলেও বুক বিদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে ভেতরে আটকে থাকা গুলি এখনো বের করা সম্ভব হয়নি।
তাওহীদ আলম শিহাবের চাচা মো: আরিফ খান জানান, শিহাব একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে বিজিবি হাসপাতালে তার একটি অস্ত্রোপচার হলেও বুকের ভেতর থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসক জানিয়েছেন আর কিছুদিন পর আরও একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করার চেষ্টা করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার সমন্বয়কদের একজন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: নাজমুল ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে পূর্বধলার মেধাবী শিক্ষার্থী শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ দিন যাবত চিকিৎসাধীন আছেন। গুনেছি গুলি তার বুক বিদ্ধ হয়ে ভেতরে আটকে থাকলেও এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে অতি দ্রুত বুকের ভেতর থেকে গুলি বের করে সুস্থ করে তোলার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর