সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার এবং প্রতিহিংসার জের ধরে একটি গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জনশূন্য মহল্লার একেকটি বাড়ি যেন হয়ে উঠেছে মহাশ্মশান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার গ্রুপ ও প্রামানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তারা সরকার (৬৫) নামের একজন নিহতও হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামে।
জানা যায়, গত ইউপি নিবার্চন এবং গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নজরুল সরকার গ্রুপ ও মন্তাজ প্রামানিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর মন্তাজ গ্রুপের অন্তত ৫০টি বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ঐদিন সকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মন্তাজ প্রামানিকের গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র -সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকার গ্রুপের সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়। এ সময় সরকার গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে । এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা মন্তাজ প্রামানিক, তার ছেলে মাসুদ, ভাতিজা ইকবাল মেম্বার, সহপাঠী জালাল সহ মন্তাজের লোকজনের উপর্যুপরি আক্রমণে তারা সরকার নামের এক বৃদ্ধ ফালার আঘাত এবং ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সরজমিনে গেলে সরকার গ্রুপের নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, মন্তাজ প্রামাণিক ও তার ভাতিজা ইকবাল মেম্বার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার সাধারণ মানুষদের উপর জুলুম নির্যাতন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার পালাবদল কে বা কারা তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দল-বল নিয়ে সরকার গ্রুপের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সরকার গ্রুপের অন্যতম মুরুব্বি তারা সরকার নিহত হয়।
এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রামাণিক গ্রুপের শাহ জালাল, ইকবাল মেম্বার, মাসুদ, সাঈদ, মোস্তফা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর সরকার গ্রুপের লোকজন তাদের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে তারা সরকারকে নিজেরাই মেরে ফেলে তাদের উপর দোষ চাপায় দেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেন সাবেক ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন।
এদিকে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে শাহজাদপুর থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর