![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন পদত্যাগ করেছেন। রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে ব্যক্তিগত কারণ তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে এর আগে শিক্ষার্থীরা রবিবারের মধ্যে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমাকে ভিসি স্যারের পদত্যাগ পত্র মেইল করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিনি বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই পত্রের মাধ্যমে অদ্য অপরাহ্ণে পদত্যাগ করিতে আপনার নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করিলাম। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এই কামনা করছি। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমাকে বাধিত করিবেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত ২ বছর মধ্যে বিতর্কিত নিয়োগ, যারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন তাদের নিয়ে নিজস্ব বলয় গঠন, আইন না মেনে বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ, ঢাকার গেস্ট হাউস ব্যক্তিগতভাবে কুক্ষিগত করে রাখা, নিয়ম না মেনে গাড়ি ক্রয়, তথ্য গোপন করে উপাচার্য হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নেওয়া। গত ২৮ মার্চ হত্যা মামলার আসামিদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা করেন। এ সময় তিনি নিজেই একজন শিক্ষককে কনুই দিয়ে ঘুশি দেন। ঐদিনই শিক্ষক সমিতি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। যা এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১০ এর (৩) ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূন্য হইলে কিংবা ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ভাইস-চ্যান্সেলর পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে [প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর], ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর