দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে শহরের দয়াময়ী মোড়ে সনাতনী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
দুপুর ১২টার দিকে কর্মসূচির শুরুতে দয়াময়ী মোড়ে মানববন্ধন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নীলা সরকার, দুর্জয়, অন্তিম গৌড় বসাক, সুচিতা দত্ত, দ্বীপসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হলেও সরকার ও প্রশাসন নীরব রয়েছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম, কিন্তু গত ৫ আগষ্ট সরকারের পতন হলে ভেবেছিলাম দেশটাকে নতুন কারে গড়ে তুলবো। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সংখ্যালঘুদের উপর আঘাত শুরু হয়। আমরা এখন নিজের দেশে নিরাপদ না, আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না। রাত জেগে লাঠি-সোটা নিয়ে মন্দির ও বাড়িঘর পাহারা দিতে হচ্ছে। আমাদের দেশত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাওয়ার জন্য নানাভাবে উসকানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, পৃথক সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণনয়সহ ৮ দফা দাবি পেশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর