• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪ মিনিট পূর্বে
শাহীন মাহমুদ রাসেল
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল
bd24live style=

বেলাভূমিতে আসছেন সমুদ্র প্রেমীরা

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটন। সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে সমুদ্র প্রেমী দর্শনার্থীরা। হামলা, ভাংচুর ও লুটের ক্ষত মুছে সীমিত পরিসরে খুলছে দোকানপাট, গতি ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। নিরাপত্তা নিয়ে শুক্রবার বিকেল হতে প্রতিদিন সেনাবাহিনীর দেয়া ব্রিফিংয়ের পর ধীরে সবকিছুর স্বাভাবিকতা আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সৈকতের বেলাভূমিতে গিয়ে দেয়া যায়, কিছু দর্শণার্থী সমুদ্রপাড়ে অবস্থান করে ঢেউ উপভোগ করছেন। এদের অধিকাংশই স্থানীয়, জেলা ও চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের অবষাদ কাটাতে সৈকত এলাকায় এনেছেন তারা। শনিবারও একই পরিমাণ লোকজন এখানে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) জেলার ছয় থানা ভবন পরিদর্শন করেন রামুর সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। তার সাথে ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামানসহ সেনা বাহিনী এবং পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।

কক্সবাজার সদর থানা কম্পাউন্ড এলাকায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সকল থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের পুরোপুরি সেবা সচল করতে কিছু সময় লাগবে। এর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, থানায় কিছু আসবারপত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লুট হয়েছে। সেনা বাহিনীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কক্সবাজারের সকল থানার কার্যক্রমের গতি ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

সকলের সহযোগিতায় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কক্সবাজার একটি সম্প্রীতিময় জেলা এবং এলাকার লোকজন শান্তি প্রিয়। কক্সবাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। উন্মুক্ত রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র গুলো। আগত পর্যটকরা অতীতের মতো নিরাপদে সমুদ্র ও প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন। যেতে পারেন যেকোনো জায়গা। সেনাবাহিনীর পক্ষ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তিনি ব্যবসায়ীদেরও সকল সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
 
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম সিকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ত্যাগের পর কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ভাঙচুর ও চাঁদাবাজি করেছে। গত ৯ আগস্ট হতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কক্সবাজার সদর থানা, পর্যটন জোনে এসে নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিফিং করেন। কোথাও কোন ধরনের অনিরাপদ কিছু দেখলে তাদের জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। দুর্বৃত্তদের অপকর্ম না এড়ালে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি দেয়ার পর বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিরাপদ পরিবেশ ফিরছে। ফলে, কক্সবাজারের বেলাভূমিতে সমুদ্র দর্শণার্থী আসা শুরু করেছে। এদের মাঝে কিছু পর্যটকও রয়েছেন। তবে, তা উল্লেখ করার মতো নয়।

শনিবার শহরের সড়কগুলোতে শিক্ষার্থীরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছেন। অপসারণ করেছে ময়লা-আবর্জনাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে হাটবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালায় শিক্ষার্থীরা। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে শহরের প্রতিটি বাজারে মূল্যতালিকা টাঙানো হয়। তবে, রবিবার সকাল হতে সড়কে ছিল না শিক্ষার্থীদের কেউ। যান চালকরা নিজেদের প্রয়োজনে সুশৃংখল ভাবে চলাচল করেছে।

শিক্ষার্থীরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন- প্রভাবশালী যেই হোক, কাউকে আপনারা চাঁদা দেবেন না। মাছ-মাংস, সবজির অতিরিক্ত মূল্য নেবেন না। একজনের জায়গা আরেকজন দখল করবেন না। আপনাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা রয়েছেন, আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সার্কিট হাউস সড়কের দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগান লিখেছেন শিক্ষার্থীরা। শহরের আভ্যন্তরীন ও বাস টার্মিনাল এবং লিংকরোড বাজারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা মূল্যতালিকা টাঙিয়েছেন। থানায় আনসার সদস্যের নিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

সেনাবাহিনীর পক্ষে কক্সবাজারে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল তানভীর হোসেন টহলটিম নিয়ে অলিগলি ঘুরছেন। এসময় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলছেন, কক্সবাজারের সকল থানার কার্যক্রম ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। জনগণকে সেবাদানে কাজ শুরু করেছে থানা পুলিশ। তাদের সাথে রয়েছে আনসার সদস্যরাও। সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে সেনা সদস্যরা।

প্রসঙ্গত: ৫ আগস্ট বিকেলে কক্সবাজারে থানা, ট্যুরিস্ট ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গাড়ি ও আসবাবপত্র লুট করা হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে চারটি হোটেলেও। লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয় অর্ধশতাধিক দোকান ও কয়েকটি বাসভবনে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িঘরও ভাংচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজারে সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন ধরে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com